
মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে চার স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো ফাতেমা (১৪) ও আফিয়া (১২) তারা বোন, আলিয়া (১১) তাদের চাচাতো বোন এবং মিম (১৪) প্রতিবেশী। ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শামীম হোসেন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
ফাতেমা মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির, আফিয়া বারাদি তৃণমূল মডেল একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। আলিয়া বারাদি তৃণমূল মডেল একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির এবং মিম আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত সকলের বাড়ি রাজনগর গ্রামের মল্লিকপাড়ায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে চারজন মশুরিভাজা বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ফেরেনি। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজতে বের হন। বিলপাড়ে তাদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে একজনের লাশ পানিতে ভাসতে দেখেন। এরপর আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এক জনকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে বিলে থাকা একটি গভীর গর্ত থেকে চতুর্থজনের লাশ উদ্ধার করে।
বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে চারজন মশুরিভাজা বিলে যায়। শাপলা তুলতে গিয়ে তারা একটি গভীর গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে সব লাশ উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, নিহত চারজনের কেউ সাঁতার জানত না। বিলে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন গভীরতা থাকায় তারা না বুঝে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মিলিতভাবে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া জাহান ঝুকারসহ প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে নিহত চারজনের দাফনের জন্য প্রতি মরদেহ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।