
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় মামলা রেকর্ড ও অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশসহ সদর থানা ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নামাজের পর শহরের কান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা সাদ্দামের মরদেহ নিয়ে সদর থানার সামনে অবস্থান নেন। থানা প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে দিতে তারা জানান, মামলা রেকর্ড না হওয়া পর্যন্ত কেউ থানার সামনে থেকে সরে যাবেন না।
ঘেরাওকারীদের অভিযোগ, সাদ্দাম হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা বলেন, ঘটনার পর এত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা নেওয়া হয়নি, গ্রেপ্তারও হয়নি, যা তারা হতাশাজনক ও দুঃখজনক হিসেবে দেখছেন। দ্রুত মামলা গ্রহণ ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদার গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং তাদের ঢাকা পাঠানো হয়।
ঘটনার পর মধ্যরাতে কান্দিপাড়ার বাসিন্দা ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সাদ্দাম হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরা পরিকল্পনা করে সাদ্দামকে হত্যা করেছেন, যাতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো যায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, “এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্তাধীন।”