
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, “লন্ডন থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে কেউ দেশ চালাতে পারবে না। বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে গণমানুষের নেতা হতে হবে। কাজ ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে, হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করতে চাইলে দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখাবে।”
শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত আয়োজিত ছাত্র ও যুব সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, “অতীতে ভারত আমাদের ওপর বহু নির্যাতন চালিয়েছে। ফ্যাসিস্টরা দিল্লির দালালিকে প্রশ্রয় দিয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে আর দিল্লির দালালি চলবে না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে না। দেশ চলবে দেশের মানুষের প্রত্যাশা এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে। কেউ লন্ডন থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে বাংলাদেশ চালাতে চাইলে সেটাও সম্ভব হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। যদি কোনো লাশ পড়ে, ১৮ কোটি মানুষ একসঙ্গে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে নামবে। বিগত সীমান্ত হত্যার প্রতিটি ঘটনা বিচার হবে।”
ভিপি সাদিক উল্লেখ করেন, “আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি দলের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী কাঠামো আর চলবে না। ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকবে, এবং দেশের ভবিষ্যত জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। কেউ যদি জনগণের অধিকার হরণ করতে চায়, তার পরিণতি শেখ হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে।”
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, যারা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঢাকসু, রাকসু, জাকসু ও চাকসুতে ইতোমধ্যেই ইনসাফের প্রতিনিধিরা বিজয়ী হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে দেশের প্রতিটি আসনে জনগণের পূর্ণ ম্যান্ডেট নিয়ে ইনসাফ কায়েম হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফেরত দেওয়া হবে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৪ আসনের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ও সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।