
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দীর্ঘ সাত মাস ধরে হিমাগারে রাখা ভারতের নাগরিক রাজনের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে জেলা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পৌর শ্মশান ঘাটে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। নিহত রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জানা যায়নি।
শরীয়তপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। সাজা শেষে তিনি আরপি (বিদেশি) বন্দি হিসেবে কারাগারে থাকছিলেন।
চলতি বছরের ১৮ মে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় থেকে মরদেহটি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিল।
পরবর্তীতে ভারতের এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শেষে মরদেহটি সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শরীয়তপুর জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, “রাজন আরপি বন্দি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। সাত মাস আগে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় থেকে মরদেহ হিমাগারে ছিল। দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমে মরদেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে।”