পাকিস্তানি শিল্পীদের ফের বয়কট করছে ভারত?
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:২৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি। এটি ২০১৯ সালের পর ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা।
আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের সঙ্গে ন্যুনতম কোনো যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছে না ভারত। তাইতো এবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কটের।
এমন অবস্থায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছেড়ে যাওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেই ছাপ গিয়ে পড়েছে দেশটির শোবিজাঙ্গনেও। ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কটের ডাক উঠেছে।
ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের ‘আবির গুলাল’ সিনেমা। আট বছর বাদে বলিউডে ফিরতে চেয়েও ফেরা হচ্ছে না পাকিস্তানি সুপারস্টারের।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের ফিল্ম ফেডারেশেন অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত।
এবার ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এপ্লয়িজের এক সভাপতি অশোক দুবেও আওয়াজ তুলেছেন ভারতীয় শোবিজাঙ্গনে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার জন্যে।
সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুবের মন্তব্য, ‘আমাদের কাছে দেশ আগে। বারবার আমাদের দেশের উপর আক্রমণ হানা হচ্ছে। সম্প্রতি পহেলগামেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেই বিষয়ে আমরা আবারও একটি বিবৃতি জারি করে নির্দেশ দিয়েছি, ভবিষ্যতে যদি আমাদের শোবিজের কোনো সদস্যকে পাকিস্তানি শিল্পী বা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করতে দেখি, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেব।’
অশোক জানিয়েছেন, ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এপ্লয়িজের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়ে পাকিস্তানি শিল্পীদের চিরতরে ভারতে কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানানো হয়েছে।
এই হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে একটি হলো পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল।
এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিল্লিতে সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠকে হয়। বৈঠকে বিরোধীরা ভারতের যদি পর্যাপ্ত জলাধার না থাকে, তবে কেন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ফলের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রতীকী ও কৌশলগত পদক্ষেপ।
এদিকে পাকিস্তান হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয়, তাহলে এটিকে তারা যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’