নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- মনারুল ইসলাম
- প্রকাশঃ ০৩:৩৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের সাথে আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী, যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হবে। বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশ্বাস করে।’
রাষ্ট্রদূতের এ বিনিয়োগ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেনে বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে আমাদের ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বিদ্যমান। চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানাই। কারণ, এটির মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যেটি মঙ্গলজনক, সে সব প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।’
এ সময় উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশী নাবিকদের জন্য দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূরীকরণের মাধ্যমে সহজ উপায়ে ট্রানজিট ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশী নাবিকদের জন্য ইতোমধ্যে ট্রানজিট ভিসা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদির নেতৃত্বে বৈঠকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এ সময়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।