গুলশান-বনানী: তুলকালামের পরের দিনই উল্টো পথে অটোরিকশা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:১৫ এম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকার গুলশান-বনানীর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল প্রশ্নে তুলকালামের পরদিনই ফের ওই রাস্তায় ফিরেছে যান্ত্রিক রিকশা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আর গুলশান সোসাইটি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়। এ সুযোগে কূটনৈতিকপাড়া গুলশান-বনানীতে ফের বিশৃঙ্খলভাবে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অভিজাত এই এলাকায় অটোরিকশা চলেছে উল্টো পথেও।
গত সোমবার (২১ এপ্রিল) গুলশান সোসাইটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। প্যাডেলচালিত রিকশাচালক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আর সোসাইটির কমিউনিটি পুলিশকে মারধর করেন তারা।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে গুলশান-বনানীর কূটনৈতিকপাড়ার নিরাপত্তায় ওই এলাকায় গণপরিবহনের সঙ্গে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ওই এলাকায় ‘ঢাকা চাকা’ নামের বাস চালু হয়। পাশাপাশি গুলশান-বনানী সোসাইটি অনুমোদিত সিটি করপোরেশনের দেওয়া নির্দিষ্ট রং ও পোশাকে রিকশাও চালু করে। এর বাইরে এলাকাটিতে আর কোনো গণপরিবহন বা রিকশা চলাচল করতে পারত না।
তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ঢাকার সব এলাকায় প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বেড়ে যায়। অন্য এলাকার মতো গুলশান-বনানীতেও এই রিকশার চলাচল বাড়ে। এতে যানজটের পাশাপাশি নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এলাকাবাসীর দাবির মুখে গুলশান সোসাইটি, পুলিশ এবং সিটি করপোরেশনের যৌথ সিদ্ধান্তে শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় সব ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত সোমবার বনানী ১১ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা সড়ক আটকে বিক্ষোভের নামে পুলিশ বক্সে হামলা এবং প্যাডেলচালিত রিকশার চালক, মোটরসাইকেল চালক-আরোহী, সোসাইটির কমিউনিটি পুলিশ ও পথচারীকে মারধর করেন। বিদেশি নাগরিককে হেনস্তার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার নতুনবাজার, গুলশান-২, হাতিরঝিল ও বনানী এলাকায় দেখা যায়, প্রধান সড়কেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাপটে চলছে। গুলশান-২ এলাকায় উল্টো পথে চলে অটোরিকশা।
গুলশানের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মিয়া বলেন, ‘গত তিন দিন ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে কিছুটা কম ছিল। সোমবার তাণ্ডবের পরে আজ আবার উল্টো পথেও চলছে অটোরিকশা।’
গুলশান সোসাইটির সভাপতি ওমর সাদাত বলেন, ‘আমরা এখন আর কোনো সংঘাতে যেতে চাচ্ছি না। সম্মিলিতভাবে সবাইকে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
ট্রাফিক পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা যেন প্রধান সড়কে রিকশা না চালায়।’