
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে টানা পাঁচ দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ‘আমজনতার দল’-এর সদস্যসচিব তারেক রহমান। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে তিনি আমরণ অনশনে রয়েছেন, আর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। তবুও সিদ্ধান্ত থেকে সরতে নারাজ তিনি।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে দেখা যায়, চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন তারেক রহমান। হাতে স্যালাইন ঝুলছে, কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে তার। অনশনের স্থানজুড়ে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ; কেউ সংহতি জানাতে, কেউবা কৌতূহলবশত দেখতে।
দুর্বল কণ্ঠে তারেক বলেন, “অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।”
ইসির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, “কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন একজন উপসচিব এসেছিলেন, তারপর আর কেউ আসেননি। কোনো চিঠি বা বার্তাও দেয়নি।” নিজের অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।”
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। রোববার দুপুরে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন, ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো... ইউ গট মাই আনসার।”
গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশন তিনটি দল: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। পরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পরই দেওয়া হবে চূড়ান্ত নিবন্ধন।
তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। ওই দিন বিকেলেই নির্বাচন ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি, যা রোববার পর্যন্ত ১২৩ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে।