
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশের মাটিতে পা রাখেন তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনে দেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করেন শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
টানা ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আজ বাংলাদেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। তাকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে অবতরণ করে। সেখানে যাত্রাবিরতির পর একই ফ্লাইট বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
তারেক রহমানের আগমন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা। তার দেশে ফেরার প্রভাব হবে খুবই ইতিবাচক।
সামনে একটি বড় নির্বাচন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশ বর্তমানে ‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে’ আছে। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের ফলে এই ট্রানজিশন আরও “স্মুথ” হবে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেস সচিব জানান, তার নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএনপি দেখছে। তবে বিএনপি সরকারের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ঘটনাটি গতকাল রাত ১২টার দিকে ঘটে। তবে এখনো তিনি পদত্যাগের কারণ জানতে পারেননি।
বড়দিন উপলক্ষে পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব ধর্মের মানুষ যেন নিজ নিজ ধর্মীয় আচার ও উৎসব নির্বিঘ্নে ও আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেন। তার মতে, এটিই প্রকৃত গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।