মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান

দীর্ঘদিন পর দেশের মাটিতে ফিরে সংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায়বিচারের অঙ্গীকারের কথা জানালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ন্যায়পরায়ণতাকে সামনে রেখে দেশ পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সংবর্ধনাস্থলে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান।

বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, আজ আসুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি–ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসুন আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করি হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র রহমত দানকারী। আজ আপনি যদি আমাদের রহমত দেন আমরা এ দেশের মানুষ পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবো। আজ যদি আল্লাহর রহমত এ দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহর সাহায্য, দয়া আমাদের ওপর থাকে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।’

এর আগে লাখো নেতাকর্মীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে ওঠেন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে সংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারেক রহমান। বাসে তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

সংবর্ধনাস্থলে তারেক রহমানকে বহনকারী বাস পৌঁছানো মাত্রই জনতার মধ্যে বাঁধভাঙা উল্লাস দেখা যায়। ‘বীরের বেশে, তারেক রহমান আসছে ফিরে বাংলাদেশে’সহ নানা স্লোগানে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের নেতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।