
কাশ্মীরে পেহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে পাকিস্তানের অন্তত ১৫০ সেনা নিহত হওয়ার তথ্য ফাঁস করে তা দ্রুত মুছে ফেলেছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ‘সামা টিভি’। এ তথ্য প্রকাশের পর ভারতে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনার ঝড়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জেরে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সামরিক অভিযান। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’। দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন ধরে চলে এই সংঘর্ষ, যার তথ্য তেমনভাবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়নি।
সম্প্রতি সামা টিভি এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া বিভিন্ন সাহসিকতার পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় ‘ইমতিয়াজি সনদ’ এবং ‘তমঘা-ই-বাসালাত’ পাওয়া একাধিক সেনা সদস্যের নামের পাশে ‘শহীদ’ শব্দটি লেখা ছিল। এতে স্পষ্ট হয়, মে মাসের ওই সংঘর্ষে পাকিস্তান বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তা দ্রুত ভাইরাল হলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামা টিভি ওয়েবসাইট থেকে এটি মুছে ফেলে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এই গোপন সামরিক তথ্য প্রকাশের পর পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর চাপের মুখে পড়ে সংবাদমাধ্যমটি প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তান সরকার অতীতে এমন সামরিক ব্যর্থতা গোপন রাখার প্রবণতা দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে।
এরপরই পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’। পাকিস্তানের দাবি, এই অভিযানে তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।
গতকাল রোববার লাহোরে এক সেমিনারে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি দাবি করেন, ওই সংঘর্ষে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে এবং এর ভিডিও প্রমাণ পাকিস্তানের কাছে রয়েছে।