
পাশবিক হুমকি থেকে রক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রস্তুতি শক্ত করতে দেশের সব নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে — এমন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ এলে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন এবং জানান যে গণপ্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোয় এ ধরণের প্রস্তুতি জরুরি, বিশেষত আমাদের ভৌগোলিক বাস্তবতার কারণে। তিনি লেখেন, “আমাদের তরুণদের মৌলিক সামরিক শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়লে যাদের ক্ষতি, যারা আমাদের গোলামির শিকল পরিয়ে রাখতে চাইবে, তারা আর সুযোগ পাবে না। সিস্টেমের ভেতরে থাকা কিছু এজেন্টদের মাধ্যমে আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রকল্প অনুমোদনে আট থেকে নয় মাস+ সময় লেগেছে। এখন যখন বাস্তবায়নের পথে, তখন তৎপর পত্রিকাগুলো ন্যারেটিভ নির্মাণ শুরু করেছে।”
সজীব ভূঁইয়া আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে বেসিক সামরিক প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, “আমাদের বিএনসিসির ক্যাডেটরা বাৎসরিক ক্যাম্পে অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ পান। আমি নিজেও তা পেয়েছি। ভবিষ্যেৎ এই প্রশিক্ষণ আরও উন্নত ও বড় পরিসরে করা প্রয়োজন।”
পোস্টের শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, “কখনো বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পেলে ইনশাআল্লাহ সব নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। আমাদের ভৌগোলিক বাস্তবতায় সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে গণপ্রতিরক্ষার ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।”
উল্লেখ্য, বর্তমান পরিকল্পনা সম্পর্কে অধিকারিকদের তরফে বিস্তারিত সময়সূচি বা বাস্তবায়ন কৌশল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সরকারের নিরাপত্তা নীতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে সেটি পরবর্তীতে জানানো হবে।