
রবিবার (২৪ আগস্ট) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা চাই হিসাবপত্র হোক এবং আর্থিক বিষয়গুলো সমাধান হোক। আমরা চাই যে এখানে যেই গণহত্যা হয়েছে, তার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা চাক। এছাড়া আটকে থাকা মানুষদের ফেরত নেওয়ার বিষয়েও আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ১৯৭১ সালের বিষয়টি ১৯৭৪ ও ২০০২ সালে সমাধান হয়েছে।” বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি একমত নই। যদি একমত হইতাম, তাহলে সমাধান হয়ে যেত তাঁদের মতে।
‘গণহত্যা’ শব্দটি বৈঠকে ব্যবহার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে এখন কথা বলা ঠিক হবে না। তবে আমরা আমাদের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরেছি।
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আমি এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, একটি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, যেটি আপনি অগ্রগতি হিসেবে দেখতে পারেন। আমরা তিনটি বিষয়ে আমাদের অবস্থান প্রকাশ করেছি। দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে যে এগুলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ রাখতে এগুলো পেছনে রাখা হবে। আমরা একমত হয়েছি যে ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।
নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের একমত হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনি এটি আমার মুখে তুলে দিতে পারবেন না। আমরা শুধু আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। এটিই অগ্রগতি এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে যাতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি না হয়।