
নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তন ও ইসলামপন্থী ঐক্যের ডাক তুলে খুলনায় অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে প্রথমবারের মতো এক মঞ্চে দেখা গেল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও এনসিপি নেতারাও।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হলের পাশে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলোচনায় দল দুটির নেতারা বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেউ একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারবে না। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সংস্কার ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের পরে হবে জাতীয় নির্বাচন। আর সেটি অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি ভোট বাক্স থাকবে। ইসলামী ভাবধারার মানুষের ভোট একবাক্সেই যাবে। যেই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শোয়াইব হোসেন ও মুফতি মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মুফতি আমান উল্লাহ।
অতিথি বক্তাদের মধ্যে জামায়াতের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগর জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া এবি পার্টির সদস্যসচিব আকতার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সভাপতি মো. বেলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিদুল ইসলাম এবং এনসিপির সংগঠক আহমেদ হামীম রাহাতও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।