
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদকসংক্রান্ত বিরোধের রেশ ধরে জনি ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া সীমান্ত এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত জনি জামালপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। সীমান্ত এলাকায় তিনি একজন পরিচিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই জনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। দৌলতপুরের আলোচিত মোহন হত্যা মামলার প্রধান আসামিও ছিলেন তিনি। চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক চোরাকারবারি নাজিমুদ্দিনের ছেলে সোহান এবং আমিরুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে মাদক বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
ওই বিরোধের জেরে শনিবার দুপুরে জনি যখন নিজ বাড়ি জামালপুরের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন সোহান ও সুমনের নেতৃত্বে ৩০–৩৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হাঁসুয়া দিয়ে নির্বিচারে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যুর নিশ্চয়তা নিশ্চিত করে মহিষকুন্ডি মাঠপাড়ার কবরস্থানের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, জনি অনেকদিন ধরেই মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানে জড়িত ছিল। ভারতে পালিয়েও ছিলেন তিনি। গত বছর তার নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় মোহন নামে এক যুবক খুন হন—সেই মামলারও প্রধান আসামি ছিলেন তিনি। সীমান্তে বিভিন্ন অপরাধকর্মে তার সম্পৃক্ততার কথাও জানান তারা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, জনি ছিলেন কুখ্যাত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ অন্তত অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। মাদক ও হত্যা সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধ থেকেই প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।