.png)
সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা রনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলছিল। কে সেই স্ত্রী, কবে বিয়ে করেছেন এবং কেন আবার বিয়ে করলেন এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। অবশেষে বুধবার রাতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে “সম্পত্তির লোভে দুই সন্তানের মাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে রনি” শিরোনামে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন। সেখানে রনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানা আফরোজের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস করা হয়। ভিডিওটিতে ফারজানা নিজেও প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তবে যুগান্তর এ অডিও ও বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ফারজানা অভিযোগ করেন, স্বামী থাকার বিষয়টি জেনেও রনি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি আপত্তি জানালেও পরে রনির অনুরোধে রেডিসন হোটেলে তাদের বিয়ে হয়। তবে রনি কখনো তাকে প্রকাশ্যে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেননি।
রনির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত বিলাসবহুল বাড়ি ‘অরুণাপল্লী’ নিয়েও ফারজানার বক্তব্য উঠে আসে। তার দাবি, রনি জানিয়েছিলেন বাড়িটি তার জন্যই তৈরি। কিন্তু সেখানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রথমবার গেলে পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে একা ফেলে চলে আসে।
সম্প্রতি রনির অফিসে গিয়ে অপমানিত হওয়ার ঘটনাও জানান ফারজানা। তার দাবি, অফিসে প্রবেশ করলে রনি পুলিশ ডাকার হুমকি দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময় রনি অভিযোগ করেন, তাকে হিপনোটাইজ করে বিয়ে করানো হয়েছে। তবে ফারজানা কাবিননামা থাকার প্রমাণ দেখান। পরবর্তীতে রনি কাবিনপত্রের ভিত্তিতে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন বলে দাবি তার।
ইলিয়াস হোসেন জানান, রনি ২০০৯ সাল থেকে ফারজানার পেছনে লেগেছিলেন। ২০১৮ সালে তাকে দিয়ে স্বামীকে তালাক করান এবং ২০২২ সালে বিয়ে করেন। এরপর তিনি ফারজানার বাবার সম্পত্তির প্রতি লোভ দেখান। কিন্তু সম্পত্তি না পেয়ে সম্প্রতি তালাক দেন।
প্রবাসী সাংবাদিকের দাবি, ফারজানার ভাইবোন না থাকায় তিনি একাই দেশে থেকে বোনদের সম্পত্তি দেখাশোনা করেন। আর এই সম্পত্তি দখলের লোভেই রনি তাকে বিয়ে করেছিলেন।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় গোলাম মাওলা রনি কোনো মন্তব্য করেননি।