
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ওপর আবারও বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। অন্তত ২০টি নৌযান থামিয়ে দিয়েছে তারা এবং ২২৩ জন ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীকে আটক করেছে।
আল-জাজিরার জর্ডান প্রতিনিধি জানান, আটক ব্যক্তিদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বন্দরেই আটকাদের পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ধাপে ধাপে তাদের সেখানে নেয়া শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, বুধবার রাতে গাজা থেকে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে অবস্থানকালে ফ্লোটিলাকে থামায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসময় দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লুসহ অন্তত ১৩টি জাহাজ আটক করা হয়। ইসরায়েলি সেনারা নৌযানে উঠে যাত্রী ও কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, “হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামানো হয়েছে। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।”
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, এই বহরের ১৩টি নৌযান ইসরায়েল আটকে দিয়েছে। এতে থাকা ৩৭ দেশের দুই শতাধিক মানবাধিকারকর্মীকেও আটক করা হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আটককৃতদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। একে একে ভূমধ্যসাগরে নৌযানগুলো আটক করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, “নিজ নিজ ইয়টে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে ইসরায়েলে পৌঁছাচ্ছেন। সেখান থেকেই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।” এ সময় গ্রেটা থুনবার্গসহ আটক কয়েকজন কর্মীর ছবিও প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান নিয়ে যাত্রা শুরু করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ৪৪ দেশের প্রায় ৫০০ মানুষ ছিলেন। এর মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকরাও ছিলেন।