
সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, “সাংবাদিকরা হলেন রাষ্ট্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই সমাজ-রাষ্ট্রের অসংতি, দুর্নীতি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। অপরাধ প্রতিহত হয়। সে জন্য একটি সভ্য ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া কোনোভাবেই সহ্য করা হয় না।”
শনিবার (২৩ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকদের নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে এবং একদল ছাপোষা সাংবাদিক তৈরি করেছিল।”
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, “২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানে স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপিদলীয় বা বিএনপির নামধারী নানাস্তরের নেতারা সাংবাদিকদের ওপর আগের মতো চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো, ভোলার দৌলতখানে সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করার ঘটনা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার বিবরণে যা জানা যাচ্ছে তা ভীতিজনক। মব সৃষ্টি করে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়া, সাংবাদিকদের শারীরিক হেনস্তা করা এবং তাদের জীবনের হুমকি তৈরি করার যে বিবরণ এসেছে তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। বিএনপি বারংবার গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের তৃণমূলের নেতৃত্ব যে মাত্রায় সহিংসতাপ্রবণ তাতে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ তৈরি হয়েছে।”
চরমোনাই পীর বলেন, “এর আগে গাজীপুরে একাধিক সাংবাদিক নির্যাতন এমনকি সাংবাদিক হত্যার ঘটনাও আমরা দেখেছি। দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হলেও হত্যাকারীর পেছনের লোকদের খুঁজে বের করা যায়নি। এর ফলে দেশের প্রান্তে প্রান্তে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করার সাহস পাচ্ছে।”
তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় এর দায় বিএনপিকেও বহন করতে হবে।”