
ভোলার চরফ্যাশনে ঢাকাগামী টিপু-১৩ লঞ্চে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কেবিনে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী দুজনকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনা ঘটে ৮ আগস্ট বেতুয়া লঞ্চঘাটে। তবে ছাত্রীটি সোমবার থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি চরফ্যাশনের চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন—পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোতাহার হোসেনের ছেলে মো. মিরাজ এবং দক্ষিণ নাজিম উদ্দিন গ্রামের হোসেন বেপারীর ছেলে মো. আলাউদ্দিন বেপারী।
ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, ওই ছাত্রী ৮ আগস্ট লঞ্চের ৩৮৫ নম্বর কেবিনে ছিলেন। একই এলাকার এক বড়ভাই ৩০৮ নম্বর কেবিনে অবস্থান করছিলেন। দুপুরে তিনি তার কেবিনে এসে কিছুক্ষণ কথা বলছিলেন। এ সময় দরজা খোলা থাকলেও বিকেল ৬টার দিকে মিরাজ ও আলাউদ্দিন প্রবেশ করে বলে, “তোমরা অসামাজিক কাজ করছো।” এরপর তারা ভিডিও ধারণ করে এবং ভিডিও ফাঁস করার ভয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় তারা কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। মিরাজ তার চুল ধরে শ্লীলতাহানি করেছেন এবং গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ভুক্তভোগীর বড়ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
চরফ্যাশন আদালতের সহকারী পিপি হযরত আলী হিরন বলেন, “এটি স্পষ্ট একটি ফাঁদ। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।”
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”