শনিবার | ৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৪ কার্তিক, ১৪৩২
সোনালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থি ব্যাংকারদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)’। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এবং ‘লুটপাট অর্থনীতির থিংকট্যাংক’ হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে জেবিএবি এই দাবি জানায়। এর একদিন আগে, সোমবার রাজধানীতে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে পেশাজীবী ব্যাংকারদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেবিএবির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন ও সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। তারা বলেন, চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরীর অপসারণ না হলে, জুলাই-আগস্ট চেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, মুসলিম চৌধুরী অতীতে অর্থ সচিব এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (CAG) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং সেই সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছিল। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মতো বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিও ঘটেছে তার সচিব থাকাকালীন।
জেবিএবি নেতাদের দাবি, সিএজি হিসেবে তার স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ বিভাগের কোনো তহবিল ছাড় সম্ভব ছিল না, এবং সেজন্য বিগত সরকারের অর্থনৈতিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় থেকে তিনি দায়মুক্তি পেতে পারেন না।
সভায় আরও অভিযোগ করা হয়, সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, যিনি মুসলিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। জেবিএবির নেতারা দাবি করেন, এসব কর্মকাণ্ডে মুসলিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।
আলোচনায় বক্তারা উল্লেখ করেন, মুসলিম চৌধুরীর পরিবার চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মতে,
"একজন দলীয় সুবিধাভোগীকে দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ও চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী’।
.png)
