
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই সূত্রে গাঁথা। তাদের বিচার একসঙ্গেই হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা যেমন নরেন্দ্র মোদির প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করেছেন, জাপাও সেই পথে হাঁটছে। তবে দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হলে বিএনপি ও বিরোধী শক্তি তা প্রতিহত করবে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সোহেল বলেন, জাতীয় পার্টি নির্দোষ নয়। অতীতে হাসিনার দুঃশাসন ও লুটপাটে তারাও অংশ নিয়েছে। নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা আবারও এক হয়ে লড়াইয়ে নামবো।
তিনি আরও বলেন, দেশে শেখ হাসিনার অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার কারও আর ফিরে আসার নজির নেই। বঙ্গোপসাগরের জলরাশি শুকিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাসিনার ফিরে আসার স্বপ্ন আর পূরণ হবে না।
নুরের ওপর সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম পুরনো ভিডিও। পরে বুঝলাম নতুন হামলা। হাসিনার আমলেও নুর বারবার হামলার শিকার হয়েছে। তাহলে এখন কারা এ হামলা করলো? আমি মনে করি, প্রশাসনে এখনও হাসিনার অনুসারীরা সক্রিয়।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা এক শরীর, এক মন। বাংলাদেশ আর কখনও অন্য দেশের পুতুল হবে না। ১৯৮৬ সালে এরশাদ যখন পতনের মুখে, শেখ হাসিনাই তাকে টিকিয়ে রেখেছিলেন। এবারও কেউ যদি জুলাই যোদ্ধাদের রক্ত ঝরায়, আমরা চুপ করে থাকবো না। নুরের ওপর হামলার বিচার না হলে রাজপথে আমরাই সবার আগে থাকবো।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এ সমাবেশে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার, তাদের নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, এবং ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।