
বিভিন্ন অভিযোগ ও টানটান নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে স্থাপিত ২২৪টি বুথে এই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয় ১ হাজার ৫৩৪ জন পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি এবং ৫ প্লাটুন আনসার বাহিনী। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক ছিলেন।
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশগেটেও ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ। ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত মীর মশররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেট ও প্রান্তিক গেট ছাড়া সব গেট বন্ধ রাখা হয়।
একইসঙ্গে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্টের দোকান, পুরাতন পরিবহন চত্বরের দোকান, নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বরের দোকান, প্রান্তিক গেটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট এবং প্রধান গেট সংলগ্ন সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আবাসিক হলের ক্যান্টিন ও প্রয়োজনীয় দোকান খোলা ছিল, যেখানে পর্যাপ্ত খাবার মজুত রাখা হয়।
নির্বাচনী নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল চলাচলেও আরোপ করা হয় কড়াকড়ি। ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকারযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যানবাহন এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত গাড়ি প্রবেশের অনুমতি পায়। এছাড়া স্টাফ বাসগুলোকে শুধুমাত্র প্রান্তিক গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।