
সরকার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নভেম্বরের শেষ নাগাদ সব ধরনের আইনি সংশোধনের কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আর কোনো আইনি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার একেবারেই অটল।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমাদের সব সংস্কার কার্যক্রম চলছে, আমরা টিম হিসেবে কাজ করছি। অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে সংস্কার কবে শেষ হবে এটা পরিষ্কার করা জরুরি। প্রথম যে ছয়টি কমিশন কাজ করেছিল, তাদের প্রস্তাব থেকে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো বাছাই করা হয়েছে। এর অর্ধেকের বেশি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আছে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য। এসব সংস্কার শুধু অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশে করা সম্ভব নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান কে হবেন এটা নির্ধারণে সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, শুধু রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধন করলেই যথেষ্ট। অন্যদিকে কিছু প্রস্তাব যেমন দুর্নীতির কৌশলপত্র প্রণয়ন, এগুলো রুটিন কাজ, বড় ধরনের সংস্কার নয়।
আইন উপদেষ্টা জানান, এ পর্যন্ত চিহ্নিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছয়টি সাংবিধানিক ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচটি কমিশনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ফওজুল করিম খান ও ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, আমাদের যদি নিয়ত থাকে গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য ধরে রাখব এবং ফ্যাসিবাদকে ফিরতে দেব না, তাহলে কোনো সমস্যাই সমাধান অসম্ভব নয়।