
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, যদি তাদের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তা হলে ১৯৭১ সালের ছুঁটিয়ে দেওয়া মিথ্যা বদনাম মুছে যাবে এবং তারা নিজেকে প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যোসিয়েশনের (কোবা) আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. তাহের অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। আমাকে অনেকে ভয় দেখায় যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, পাশের দেশের লোকেরা ঢুকে পড়বে। আমি বলি, আমি দোয়া করি তারা ঢুকুক। ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাব। কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।
তাহের আরও বলেন, এই কট্টর প্রতিরোধহীন নেতৃত্বই সংগঠিতভাবে লড়াই চালাবে অংশেরা গেরিলা আন্দোলনে যাবে, কেউ সরাসরি লাঠি হাতে লড়াইয়ে নামবে, বিস্তৃত এলাকায় স্বাধীনতার যুদ্ধ সঞ্চালিত হবে। তার বক্তব্যে তিনি রাসূল (সা.)-এর গাজওয়া-সংক্রান্ত হাদিসের বাস্তবায়নের প্রসঙ্গও তোলেন।
জামায়াতের এই নেতা তর্ক করেন যে, আওয়ামী লীগ ও বাকি বড় কোনো দল ভারত বিরোধী লড়াই করবে না তারা সহযোগিতা করবে বা সংগঠিতভাবেই লড়াইয়ের প্রস্তুত নয়। সেই শর্তে, তিনি বলেন, সংগঠিত শক্তি কে হবে? আমরা হবো। তখন আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা। তাহলে একটা সুযোগ তৈরি হবে খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার। বাংলাদেশকে কেউ গ্রাস করতে পারবে না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
রিপোর্টে বলা ঘটনাপ্রবাহ, বক্তব্য ও স্থানের সব কিছুকেই অক্ষরে অক্ষরে তুলে ধরা হয়েছে এবং উদ্ধৃত বাক্যগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।