
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে বলেছেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছে, “অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যতমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে (সোশ্যাল কনট্রাক্ট) পৌঁছাতে হবে।”
তবে তিনি জানান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বাস্তব আগ্রহ দেখা যায়নি। গত বছরের আগস্টে বিপ্লবের পর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজে বিএনপিকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এ পর্যন্ত যে আলোচনাগুলো হয়েছে, তা মূলত ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টার ফল।
ড. গালিব আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত ছিল এই আলাপ-আলোচনায় নেতৃত্ব প্রদান করা। দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক; বিভিন্নভাবে বিএনপি ৩১ দফার আলোকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারত। কিন্তু, ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বিএনপি কারও সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা শুরু করতে রাজি নয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা হয় ৩১ দফা কখনো পড়েননি, অথবা নিজেদের ৩১ দফা বিশ্বাস করেন না। এ প্রসঙ্গে ড. গালিব বলেন, এটি “খুবই দুঃখজনক।”