
বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর চাপে পড়েছে ফিলিপাইনের সরকার। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশটিতে ঘন ঘন সামুদ্রিক ঝড় ও বন্যা দেখা দিলেও, এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় নেওয়া প্রকল্পের অর্থ লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে সেসবের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
শনিবার সংবাদমাধ্যম গামানেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রাজধানী ম্যানিলায় রোববার দুটি বড় বিক্ষোভ হবে। এর মধ্যে প্রথমটি ‘বন্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন’ শিরোনামে সকাল ৯টায় রিজাল পার্কে শুরু হবে। এতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ অংশ নেবে।
দ্বিতীয় বিক্ষোভটি দুপুর ২টায় ইডিএসএ পিপল পাওয়ার মনুমেন্টে শুরু হবে, যেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন ধর্মীয় নেতারা, যাদের সঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন নাগরিক সমাজের সদস্য ও তরুণ সংগঠন।
এছাড়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে-পন্থী দল ‘হাকবাং এনজি মাইসুগ’ দুপুর ১টায় লিওয়াসাং বোনিফাসিওতে ‘সেভ দ্য ফিলিপাইনস’ শিরোনামে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করবে। পাশাপাশি, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা সকাল ৭টা থেকে ক্যাম্প আগুইনাল্ডোর বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
ম্যানিলার বাইরেও আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। দুতের্তে-সমর্থকদের একটি মিছিল বিকেল ৩টায় দাভাও শহরের রিজাল পার্কে শুরু হবে। এছাড়া সেবু সিটির প্লাজা ইন্ডেপেন্ডেন্সিয়া ও ইলোইলো সিটির জারো প্লাজায় বড় ধরনের বিক্ষোভ হবে বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভ ঘিরে সারাদেশে ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে সরকার। যদিও কোনো বড় ধরনের হুমকি পাওয়া যায়নি, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের সাবধান থাকতে বলেছে।
ফিলিপাইনের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত রিজাল পার্ক ও ইডিএসএ শ্রাইনের ১৫-নটিক্যাল মাইল এলাকার মধ্যে সব ধরনের ড্রোন ও উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।