
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন, আল্লাহ যাকে চান, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। কর্ণফুলী নদীর মতো যদি কেউ ভাবেন এটাই সবশেষ, তাহলে বঙ্গোপসাগরের অস্তিত্ব কখনোই বুঝতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন যা আমাদের ঈমান অটুট রাখতে সক্ষম হবে। অনেক দিন পর প্রথমবারের মতো আমরা এক ছাদের নিচে এক হওয়ার বিরল সুযোগ পেয়েছি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি যদি হাতছাড়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতের ইতিহাস কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
এই মন্তব্য তিনি শনিবার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রথম ‘রি-ইউনিয়ন ২০২৫’-এর প্রধান অতিথির বক্তৃতায় করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রফেসর আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “আইআইইউসিতে অধ্যয়ন করা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে দেশের গুণী শিক্ষকরা রয়েছেন, যাদের সান্নিধ্যে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান ও চরিত্র গঠনের বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে। সুযোগ সবসময় আসে না, আজ যখন কথা বলার সুযোগ এসেছে, সেটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ইসলামী স্টাডিজ ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে অতীতে নানা ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছে। তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, “কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ শুধু জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র নয়, এটি ইসলামী মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং মানবতার আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।”
এই সমাবেশটি শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী এবং বিভাগীয় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।