
প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও সংঘবদ্ধভাবে মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, "জামায়াতে ইসলামী যেহেতু প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাই তাদের প্রচারণা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে বিএনপি জনগণের আস্থা ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। আমাদের আসল শক্তি হলো সংগঠন এবং জনগণের আস্থা। প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে।"
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায় এবং একটি কার্যকর গণতন্ত্র চায়। বিএনপিই হচ্ছে সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাঁর ভাষায়, "বাংলাদেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চায়। বিএনপিই সেই গণতন্ত্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আগামী নির্বাচন হবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক বড় সুযোগ।"
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পূজামণ্ডপগুলোতে গিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের সহযোগিতা আশাব্যঞ্জক।"
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি মাঠপর্যায়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনে।
দুদুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেহালা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহসভাপতি আরিফুজ্জামান পিন্টু, সহ সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সি, সাবেক যুবদল নেতা ফারুক মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুজ্জামান মোকলেছ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল জাহিদ।