
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উচ্চ আদালত ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় না থেকে বরং তা লঙ্ঘনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত একটি তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’-এর সংশোধন বিষয়ক একটি পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১টায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ড. নজরুল বলেন, “নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা কোনো রাজনৈতিক দল যদি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে বিস্মৃত হয়ে সংস্কার ভণ্ডুল করে দেয়, এতটা নিরাশাবাদী আমরা নই। রাজনৈতিক দলগুলো আইন প্রণয়নের সময় নিজেদের স্বার্থ ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার বিষয়টি মাথায় রাখে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হলো সরকারের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না থেকে কতটা স্বাধীন সংস্থার কাছে ন্যস্ত হয় তা নিশ্চিত করা।”
কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
কর্মশালায় প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। তিনি কর্মশালার সভাপতিত্বও করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হি. ই. রেটো সিগফ্রিড রেনগলি, এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের কক্সবাজারভিত্তিক কর্মকর্তা ইফতেখার সায়েদ আলী। আলোচনায় অংশ নেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত হি. ই. নিকোলাস উইকস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র রুল অব ল, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর মিসেস রোমানা শোয়েইগার।
কর্মশালার সমাপনী বক্তব্য রাখেন জোরপূর্বক গুম বিষয়ক অনুসন্ধান কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।