
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণপ্রাপ্তির গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে বিদেশি কনসালট্যান্ট ফার্ম ও লবিস্ট নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, বৈশ্বিক সংকটের সময় আশ্বাসমূলক বার্তা কার্যকর হয় না, তাই ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ সুযোগগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা জরুরি।
ম্যাক্সওয়েল স্ট্যাম্প এলএলসির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ এখন আর্থিক খাতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য অভিজ্ঞ কনসালট্যান্ট ফার্ম ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। যারা অন্যান্য দেশের জন্য সফলভাবে কাজ করেছে, তাদেরকে নিয়োগ দিলে বাংলাদেশের জন্য সুফল নিশ্চিত হবে।”
অর্থনীতিবিদরা জানান, বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক অগ্রগতি নির্ভর করে সুসংগঠিত নীতিকৌশল এবং দেশের সঙ্গে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ভারসাম্যপূর্ণ সহযোগিতার ওপর। বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কৌশল নিতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “কাদের লবিস্ট করা হবে, তা অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এক্সটার্নাল রিসোর্সেস ডিভিশন নির্ধারণ করবে। এই লবিস্টরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বিনিয়োগ বোর্ড, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থ, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।”
বিশেষজ্ঞরা আরও পরামর্শ দেন, লবিস্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে শুধু রফতানি বৃদ্ধিই নয়, দক্ষ জনবল তৈরি, কর কাঠামো সরলীকরণ, ব্যবসায়-বান্ধব নীতি এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।