
হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে বের করে দেওয়ার ঘটনায় এবং এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না— সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট বসুন্ধরা শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা হিজাব পরে ক্লাসে অংশ নিতে গেলে তাদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ফজিলাতুন নাহারের বিরুদ্ধে।
অভিভাবক ও কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওইদিন প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রায় ২০-২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে যায়। অন্য কোনো শিক্ষক এতে আপত্তি না করলেও শেষ পিরিয়ডের ইংরেজি শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করা হয়।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, প্রতিদিনের মতো সেদিনও সন্তানরা হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বাসায় ফিরে তারা জানায়, হিজাব থাকার কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার রাতেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফজিলাতুন নাহার দাবি করেছিলেন, “আমাদের স্কুলের একটা ড্রেস কোড আছে। এখানে কেউ পর্দা করতে চাইলে সাদা স্কার্ফ পরে আসতে হবে। কিন্তু অনেকেই ওড়না পরে এসেছে। এজন্য তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
তবে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।