
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গত এক যুগের বেশি সময়ের কার্যক্রম এবার পর্যালোচনার আওতায় আসছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজউকের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ও সম্পদ হস্তান্তরের হিসাব নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
এই নিরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর। এতে প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর, বরাদ্দসহ সব ধরনের আয়-ব্যয়ের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে।
রোববার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের কার্যবণ্টন (অ্যালোকেশন অব ফাংশনস), কর্মকর্তাদের দায়িত্বের সনদ (চার্টার অব ডিউটিস) এবং গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় নিরীক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। সেই মোতাবেক নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করবে।”
এছাড়া, নিরীক্ষা কার্যক্রম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসারে পরিচালিত হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরীক্ষা শুরু করার আগে গঠিত নিরীক্ষা দলের সদস্যদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
রাজউককে নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথভাবে অবগত রাখতে হবে, এবং তিন মাসের মধ্যে নিরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত তথ্য ও বিশ্লেষণ নিয়ে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।