
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে। বিশেষ করে উপকূলীয়, পাহাড়ি এবং খরা প্রবণ এলাকাগুলোর মানুষের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই এবং বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। জলবায়ু সহনশীল ফসলের বীজ, মাছের পোনা, উন্নত চাষপদ্ধতি নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু তথ্য, ও নিয়মিত কৃষি বিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন কর্মকাণ্ড’ বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সভায় রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘সরকার প্রয়োজনীয় অভিযোজনমূলক প্রকল্প গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে অভিযোজন কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিযোজন কাঠামো গড়ে তুলতে আমরা সকলে একযোগে কাজ করব। পতিত জমিকে কিভাবে চাষযোগ্য করা যায়, এই অভিজ্ঞতা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ায় বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।
‘সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা থেকে সেবা পেলে কম খরচে সেচ পাবেন কৃষকেরা। এতে কৃষকদের ফসলের ফলন বাড়বে এবং তাদের আয়ের পরিমাণও বাড়বে।’
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকারসহ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোজন বিষয়ক বর্তমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।