
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘিরে দিনভর আলোচনা চলেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি মুহূর্তে খবরের আপডেট পাওয়া গেছে এবং সংশ্লিষ্ট প্যানেল ও প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া নজরে এসেছে।
রুমিন ফারহানা বলেন, "সারা দিন ধরে জাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। মুহূর্তে মুহূর্তে খবরের আপডেট এসছে। আমরা দেখেছি ছাত্রদলের প্যানেলে যারা ছিল, তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। যারা শিবিরের প্যানেল, তারাও সংবাদ সম্মেলন করেছে।"
তিনি উল্লেখ করেন, শুধু বড় প্যানেল নয়, হলভিত্তিক প্রার্থীরাও মিডিয়ার সামনে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষক এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন, এবং প্রত্যেকেই নির্বাচন ঘিরে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
রুমিন বলেন, "একটি হলে ২৯৯টি ভোট। কিন্তু সেই হলে ৪০০টি ব্যালট পেপার কেন গেল? বলা হয়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটারদের ছবিসহ তালিকা তৈরি না করায় ভোটে স্বচ্ছতা ছিল না। ফলে প্রকৃত ভোটার না হয়েও অনেকে ভোট দিতে পেরেছেন বলে সন্দেহ করছেন প্রার্থীরা।
এই বিএনপি নেত্রী বলেন, শুধুমাত্র ছাত্রদলের পক্ষ থেকেই নয়, অন্যান্য অংশগ্রহণকারী প্যানেলও নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তার ভাষায়, "কেবলমাত্র ছাত্রদল নয়, অন্য যেই প্যানেল আছে তারাও এই ভোটটি স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন এবং প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে এমনটি মনে করছে না। সেদিক থেকে বিএনপির এই নির্বাচন বর্জনের কারণটা কী, সেটা কিন্তু খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে।"
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, বর্জনের কারণ মানুষ গ্রহণ করবে না অজুহাত মনে করবে, সে সিদ্ধান্ত সাধারণ নাগরিকদের ওপর নির্ভর করছে।