
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে, তারা মূলত স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, “নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও গণতন্ত্রের উত্তরণ নিশ্চিত করতে হবে, নইলে স্বৈরতন্ত্রের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি থেকেই যাবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেই সংগ্রামে দলটি সবসময় স্বৈরতন্ত্রের বিরোধিতা করেছে।
তরুণ প্রজন্মের কিছু অংশের সমালোচনা করে দুদু বলেন, যারা আজ বিএনপির আন্দোলনকে খাটো করে দেখে, তাদের বয়স যখন দুই-তিন বছর, তখন থেকেই আমাদের আন্দোলন চলছিল। তারা ইতিহাস অস্বীকার করছে, যা তাদের অহংকার ও অজ্ঞতারই প্রমাণ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সরাসরি মন্তব্য করে দুদু অভিযোগ করেন, “ছাত্রদের মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বানিয়ে তাদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে গুলশানে পুলিশ ব্যবহার করে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, এর দায় প্রধান উপদেষ্টাকেও নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমালোচনা করি, কারণ চাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এখনও সময় আছে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে আপনি দেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে ভূমিকা রাখতে পারেন। দেশবাসীও সেটিই প্রত্যাশা করে।
চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ার করে দুদু বলেন, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে চাঁদাবাজিতে জড়িত, তাদের মনে রাখা উচিত, বর্তমানের সুবিধাভোগী উপদেষ্টারা ভবিষ্যতে পাশে থাকবে না। এখন সময় বুঝে সরে না দাঁড়ালে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আকন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন এবং জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।