
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ শিশু বৈশাখীর মরদেহ উদ্ধার করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ৭টায় সিধুলী ইউনিয়নের চরভাটিয়ানী এলাকায় ঝিনাই নদী থেকে বৈশাখীর মরদেহ তোলা হয়।
বৈশাখী শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার টাংগালিয়া এলাকার হোসেন আলীর কন্যা। এর আগে উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো চর ভাটিয়ানী এলাকার প্রবাসী দুদু মিয়ার কন্যা পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু হাসান (৮), বাউসী এলাকার নুর ইসলামের কন্যা সাবেরা আক্তার (৮) এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের প্রবাসী আজাদ মিয়ার কন্যা কুলসুম।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পাঁচ শিশু নৌকা নিয়ে ঝিনাই নদীতে ঘোরাঘুরি করছিল। কোনো এক সময়ে তারা পানিতে পড়ে যায় এবং ডুবে যায়। এরপর পরিবারের লোকেরা নৌকায় না দেখে তাদের খোঁজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। রাতের সময় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয় এবং শনিবার থেকে পুনরায় অভিযান শুরু হয়। একপর্যায় কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার বৈশাখীর মরদেহও পরিবারের হাতে ফিরে আসে।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, "সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ শিশু বৈশাখীর পরিবারের লোকজন ঝিনাই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। বাকি চার শিশুর মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার করে।"
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মাদারগঞ্জের সিধুলী ইউনিয়নের চরভাটিয়ানী এলাকায় নৌকা থেকে পাঁচ শিশু নিখোঁজ হয়। প্রথমে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও দুজন সন্ধান মেলেনি।