
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে এক গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী মেয়েটি জুগলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে দুইজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরপরই পুলিশ তড়িৎ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মিলন নামে এক যুবককে আটক করে। আটককৃত মিলন উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের জবানবন্দি অনুযায়ী, মেয়ের পূর্বপরিচিত যুবক মিলন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে পূজা দেখানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ইউরোপিয়ান পার্কের (সালমার পার্ক) সামনে আসতে বলে। মেয়েটি সেখানে পৌঁছালে তারা পার্ক ও আশপাশের এলাকায় ঘোরাফেরা করে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় নয়াপাড়া গ্রামের আজাহারুলের পুত্র আবুল বাশার (২২) তাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে জুগলী নয়াপাড়া কায়জংখালী ব্রিজের পশ্চিম পাশে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের রুস্তমপুর আকাশমনি গাছের নিচে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে অটোরিকশায় করে গামারীতলা মোড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার গভীর রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের বাড়িতে যায়। তবে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন জানান, "এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট থানায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"