
বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশের বন্দরবিষয়ক রাষ্ট্রীয় চুক্তির প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জে বাম সংগঠনের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষের পর আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন (৪৫), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহুর লাল রায় (৩৫), ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য অন্ত অবিন্দম (২৫), খিলগাঁও থানার ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রাফিন (২৫), ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য রাসেল আহমেদ (২৪), সোয়াইব আহমেদ আসিফ (২৪), বাসদ ও মার্কসবাদী নির্বাহী ফোরামের সদস্য সীমা দত্ত (৫২), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি শাহিনুর আক্তার সুমি (28), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী (৩০), একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক স্বাকাই ইসলাম (২৫), ঢাকা মহানগর গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সদস্য রাকিব আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রিজম ফকির।
সিপিবি নেতা ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দর চুক্তির প্রতিবাদে তাদের যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। তিনি বলেন, “আমরা যমুনার উদ্দেশে রওনা দিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়।” পরে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, কাকরাইল মোড় থেকে আহত ১২ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে সবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।