
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমণ্ডি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, তারা যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই রাজধানীর শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান। বিক্ষোভে যোগ দেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলমসহ অন্যান্য ছাত্রজনতা।
রাতের বিক্ষোভ উত্তরা ও মিরপুরেও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময়ের জন্য সড়ক বন্ধ হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে আগুন দেয়া হয় প্রথম আলো কার্যালয়ে। একইভাবে কিছুক্ষণ পর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও আগুন লাগে। আগুনের কারণে ভেতরে কয়েকজন আটকা পড়েন, পরে দমকল বাহিনীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। ধানমণ্ডি ৩২ ও ছায়ানটেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর মাথায় আঘাত পান শরিফ ওসমান হাদি। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।