
বেতাগী উপজেলায় এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী সাত শতাধিক নারী-পুরুষ বিএনপিতে যোগ দিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শ্রী মনি সংকর, ঝর্ণা রানী, শ্রী গৌতম সরকার ও শ্রী তপন সরকারের নেতৃত্বে তারা সংগঠনটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার জেলেপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন মন্দিরে এবং হোসনাবাদ ইউনিয়নের ঝিলখোলা এলাকার চল্লিশঘর গ্রামে আয়োজিত দুটি পৃথক মতবিনিময় সভায় তাদের বিএনপিতে স্বাগত জানানো হয়।
নবযোগদানকারীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনি।
মতবিনিময় সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টার, বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফয়জুল মালেক সজীবসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে বরগুনা জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি শ্যামল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে তাদের পতন ঘটেছে। এখন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়তে তারেক রহমান ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “তিনি যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উপহার দেন, তাহলে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে শান্তিতে থাকতে পারবে। এ কারণেই তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনি বলেন, “তারেক রহমান আশ্বাস দিয়েছেন যে হিন্দুদের জানমালের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। সংবিধান তাদের যে অধিকার দিয়েছে তা শতভাগ ভোগের নিশ্চয়তা থাকবে এবং বিএনপি সেটি নিশ্চিত করতে চায়। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার- এই রাষ্ট্রই হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “পত্রিকার খবরে এসেছে বিগত সময়ে হিন্দুদের যে জমি-জায়গা দখল হয়েছে তার ৮০ শতাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখল করেছে। তারেক রহমান চান, এই দেশে কোনো সংখ্যালঘু থাকবে না, হিন্দু, মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষের অধিকার সমান হবে এবং রাষ্ট্র সবার পাশে থাকবে। আর এ কারণেই ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। তাহলেই তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
নুরুল ইসলাম মনি বলেন, “তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করতে পারবে, সংখ্যালঘু বলতে কিছু আর থাকবে না। এই দেশ সবার, কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দুরাও অংশ নিয়েছিল। তাই দেশের সকল অধিকার সবাই মিলেই ভোগ করবে- এটাই তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত।”