পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলার মামলায় নিশি রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জামিন না মঞ্জুর করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে ঈশ্বরদী থানা থেকে পাবনার আমলি আদালত-২ এ হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ঘটনার আগে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। নিশি রহমান ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ঈশ্বরদী উপজেলা ব্যাবস্থাপক হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, “ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি নিশি রহমানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কুকুরের ডাক-চিৎকারে বিরক্ত হয়ে নিশি রহমান কুকুরছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরপাড়ে রেখেছিলেন। তবে কে বাস্তবিকভাবে পুকুরে ফেলে দিয়েছে, তা তিনি জানেন না।
এসপি প্রণব কুমার জানান, আমরা ঘটনার পরিপূর্ণ তদন্ত করে দেখছি।