
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই নিরীহ বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
বৈঠকটি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে মহানগর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান ও মুহাম্মদ শামছুর রহমান।
এছাড়া মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, আব্দুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান, সৈয়দ সিরাজুল হকসহ মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন জোন পরিচালক, মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা আমিররাও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বক্তারা দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি, প্রশাসনে দলীয়করণ এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হওয়ার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশীকে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াত এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজনের ঘোষণা দেয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, “হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া মানবতার চরম লঙ্ঘন এবং ভারতের নিকৃষ্ট বর্বর আচরণের প্রমাণ। সীমান্তে আর কোনো হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না।” তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
হত্যার শিকার দুইজন হলেন- রিংকু, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের গাইপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে, এবং মমিন আলী, পাঁকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।