
লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পৌঁছানোর পর তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান যে ডা. জুবাইদা সে রাতেই বাংলাদেশে রওনা হচ্ছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “এই চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ডা. জুবাইদা রহমান, যিনি লন্ডন থেকে সার্বিক সমন্বয় করে যাচ্ছেন। তিনি আজই দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কাল (শুক্রবার) সকালে ঢাকা পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন, যেন সঙ্গে থেকে দেশনেত্রীকে কাতারের অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন নিয়ে যেতে পারেন।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের অন্যতম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত অথবা শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে কাতারের রয়াল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১৪ সদস্যের একটি দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় তার সঙ্গে থাকবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লন্ডন সফরের পুরো দলের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা অনুযায়ী, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার পুত্রবধূ সায়দা শামীলা রহমান। এছাড়া দলে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক ও চেয়ারপারসনের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমান।
চিকিৎসক দলের ছয় সদস্য হলেন ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, ডা. মোহাম্মদ আনামুল হক চৌধুরী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. নূরউদ্দিন আহমদ, ডা. জাফর ইকবাল ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্য হাসান শাহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিন মাহফুজও লন্ডন সফরে যুক্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদারকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।