
ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে এক আফগান অভিবাসীর গুলির ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় সংক্রান্ত আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে।
গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) ওই ঘটনায় এক সেনা নিহত হন। এর পরপরই আশ্রয় নীতি সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা আসে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী নেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।
ইউএস সিটিজেন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো শুক্রবার এক্সে লেখেন, “সব বিদেশির সম্পর্কে নিরাপত্তা যাচাই সর্বোচ্চ পর্যান্ত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয় সিদ্ধান্তের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএসসিআইএস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আশ্রয় আবেদন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে। এই স্থগিতাদেশ বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে; শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে কর্মকর্তারা বিরত থাকবেন।
যদিও ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বের সব দেশের কথাই বলেছেন, তিনি কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে তার এই সিদ্ধান্ত গুরুতর আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এ ঘোষণা নিন্দা করেছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। তার প্রশাসন বহু অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বাতিলের চেষ্টাও চলছে।