
আমদানির চাপ বাড়ায় গত জুলাই মাসে ভারতের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে দেশটিতে পাইকারি পণ্যের মূল্য গত বছরের তুলনায় কমেছে। বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (এপ্রিল-জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছর আগে যেখানে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে।
এর মধ্যেই গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে— যা দেশটির জন্য অন্যতম সর্বোচ্চ হার।
পরিসংখ্যান বলছে, শুধু জুলাই মাসেই ভারতের মোট বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, যা অর্থনীতিবিদদের ২০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি জুনের ১৮ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায়ও এটি অনেক বেশি।
জুলাইয়ে ভারতের পণ্য রপ্তানি বেড়ে ৩৭ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে; জুনে যা ছিল ৩৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি এক মাসে ৫৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার থেকে লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে।
পাইকারি মূল্যের পতন
গত জুলাইয়ে ভারতে পণ্যের পাইকারি মূল্য আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে, যা জুনে ছিল ০ দশমিক ১৩ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়াই মূলত এই পতনের কারণ।
রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, জুলাই মাসে বার্ষিক পাইকারি মূল্য হ্রাসের হার হতে পারে ০ দশমিক ৩ শতাংশ— অথচ বাস্তবে তা হয়েছে তার চেয়েও বেশি।
বিস্তারিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়—
জুলাইয়ে খাদ্যের পাইকারি দাম গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে (জুনে ছিল ০ দশমিক ২৬ শতাংশ)।
সবজির দাম কমেছে ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুনে ছিল ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ (জুনে ছিল ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ)।
জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যেখানে জুনে কমেছিল ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সূত্র: রয়টার্স।