.png)
পাকিস্তানে চালানো ভারতের সামরিক অভিযান 'অপারেশন সিঁদুর' মূলত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা ও সবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দূরত্ব কমিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধীদল পিটিআইয়ের (পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ) প্রধান ও সবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা এবং কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।
গত সোমবার আদিয়ালা জেলে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব পৌঁছে দেন এবং ইমরান খান সেসময় আলোচনার অনুমতি দেন বলে বিশ্বস্ত বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে।
তবে ইমরান খান পরিষ্কার করে দিয়েছেন, আলোচনাটি গোপনীয়ভাবে ও গণমাধ্যমের উপস্থিতি বা নজরের বাইরে হওয়া উচিত, যাতে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়।
পিটিআই বলছে, এইবার আলোচনা হবে বেশ কৌশলী ও নিরবভাবে। দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পিটিআই এখন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় এগোনোর জন্য অনুরোধ জানাবে।
তাদের অভিমত, অতীতে আলোচনার প্রয়াস গণমাধ্যমে অতিরিক্ত প্রচারের কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার তারা চান, টেকসই পরিবেশে এই আলোচনা হোক।
ব্যারিস্টার গহর জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ইমরান খানের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তার ভাষ্য, ‘আমাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা আমি বলতে পারি না।
এর আগে সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পিটিআইকে জাতীয় সংলাপে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার গওহর সেই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও পিটিআই স্পষ্ট করে জানায়, ইমরান খানের সম্মতি ছাড়া কোনও অগ্রগতি সম্ভব নয়।
পিটিআই-এর সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, ইমরান খান চান আলোচনায় সেনাবাহিনীর সমর্থন থাকুক। একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য ইমরান প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গেও দেখা করতে প্রস্তুত।