
গাজায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তারা গাজা সিটিতে নতুন ও সম্প্রসারিত সামরিক আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা শহরটিকে হামাসের “শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর একটি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জানায়, যদিও পুরোপুরি প্রবেশ এখনো হয়নি, তবে এবার গাজা সিটিকে প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাফাহ ও খান ইউনিসসহ অন্যান্য শহর ইতিমধ্যেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, গাজার রাজধানীও দ্রুত একই ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে। স্থল আক্রমণের আগে বহুতল ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বোমাবর্ষণও বেড়েছে।
এই অভিযান ঘোষণা করা হয়েছে এমন সময়ে যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জেরুজালেমে অবস্থান করছেন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজা সিটিতে স্থল অভিযান আরও ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করবে। অঞ্চলটির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষের কবলে রয়েছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষ গাজা সিটি ও আশপাশে বসবাস করছে। যদিও ইসরায়েল জনগণকে সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে, আইডিএফ দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষই সরে গেছে। স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনা এবং দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।