
ফিলিস্তিনের গাজা সিটি এবার নতুন ধরনের ভয়ঙ্কর অস্ত্রের মুখে—বিস্ফোরকভর্তি রোবট। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এসব রোবট গাজার জনবহুল এলাকায় পাঠাচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছে এগুলো পরিচিত ‘বুবি ট্র্যাপ রোবট’ নামে। মূলত সাঁজোয়া যান থেকে তৈরি এসব রোবটে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ভরে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে চালানো হয়। নির্দিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হলে আশপাশের সবকিছু ধসে পড়ে।
ইসরায়েলি সেনারা এগুলোকে ডাকে ‘আত্মঘাতী এপিসি’। ওয়াল্লা জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে ইতোমধ্যে অসংখ্য এপিসি জমা করা হয়েছে এবং সেগুলোতে বিস্ফোরক ভরে রোবটে রূপান্তর করা হচ্ছে। চলমান স্থল অভিযানে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার রাতেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে নতুন করে স্থল হামলা শুরু করেছে।
গত মাসে জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাউদার্ন কমান্ড প্রধান ইয়ানিভ আসোরের নির্দেশে এম১১৩ এপিসির ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে। এসব বিস্ফোরকের শব্দ এতটাই প্রবল যে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল থেকেও তা শোনা যায়।
ফিলিস্তিনিদের দাবি, বিস্ফোরক রোবট বিস্ফোরিত হলে মাটি কেঁপে ওঠে, সৃষ্টি হয় তীব্র আতঙ্ক। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়। গাজার বাসিন্দা হামজা শাবানা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, “এগুলো অনেক শক্তিশালী। এগুলো একটি ভবনকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। বিমান হামলার চেয়েও রোবটগুলো বেশি ক্ষয়ক্ষতিকর।”
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, ১৩ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ১০০টি বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। এ সময় প্রায় ৩০০টি ভবন ধসে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দখলদার বাহিনী মূলত গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার কৌশল হিসেবেই এই ভয়াবহ রোবটের ব্যবহার বাড়িয়েছে।
সূত্র: ওয়াল্লা