
ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলায় ইয়েমেনে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে, আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬৫ জন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী সানায় এই হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধ ঘিরে চলমান উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় হুথি গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট সানায় এক আঘাতে হুথি-নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হন। ওই হামলাটি ছিল হুথিদের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরাসরি লক্ষ্য করে চালানো প্রথম অভিযান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "হুথি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসরাইলবিরোধী আগ্রাসনের জবাব হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ড্রোন ও ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানো হয়েছিল।"
বৃহস্পতিবার, এই বিবৃতির আগে, ইসরায়েল জানিয়েছিল যে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। হুথি গোষ্ঠী পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে।
গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র বলেন, "এটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবের অংশ।"
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনের অধিকাংশ জনবহুল এলাকা বর্তমানে হুথি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে আসছে।