
ফিলিস্তিনি ব্যাংককর্মী শাদি সালামা আল-রায়েস গত এক দশক ধরে গাজা সিটির একটি প্রধান অঞ্চলে আধুনিক এক ভবনে তার ফ্ল্যাট বন্ধক নিয়েছিলেন। ইসরায়েলি হামলায় ওই ফ্ল্যাট ধ্বংস হয়ে কালো ধোঁয়া ও ধুলায় ঢাকা পড়ে গেছে। ভবনটি ধসে যাওয়ায় তার পরিবার সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
আল-রায়েস বলেন, “আমি আশঙ্কা করছি, গাজা শহর থেকে জনসংখ্যাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার লক্ষ্যে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কখনও ভাবিনি গাজা শহর ছেড়ে যাব, কিন্তু বিস্ফোরণ অবিরাম চলছে। এই অবস্থায় আমার সন্তানদের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিতে পারি না। তাই আমি জিনিসপত্র গুছিয়ে দক্ষিণে চলে যাব।”
গার্ডিয়ান জানায়, গাজার জেইতুন, তুফা, শেজাইয়া, শেখ আল-রাদওয়ানসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। স্বাধীন সহিংসতা-ট্র্যাকিং সংস্থা অ্যাক্লেডের জরিপ অনুযায়ী, গত মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রতি ১৬ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত এই বেসামরিক মৃত্যুর হার ৮৩ শতাংশ। ফিলিস্তিনের স্থানীয় এনজিও নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গাজা শহরের ৬৫ শতাংশের বেশি ভবন ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র থামিন আল-খেতান বলেন, “জনসংখ্যা স্থানান্তরের এই ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য।”
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান